মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : পর্যাপ্ত কেন্দ্র খালি না পাওয়ায় আগামী ১০ মে থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে না। এর পরিবর্তে ১৭ মে থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। আর আলোচিত পাঁচ ধাপের পরিবর্তে পরীক্ষা হবে চার ধাপে। এছাড়া লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দ্রুত শেষ করে আগামী জুনের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় কর্তৃপক্ষ। গত রোববার (২৮ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (নিয়োগ শাখা) মো. আতিক এসবি সাত্তার বলেন, প্রথম ধাপে সম্ভাব্য ১০ মে নিয়োগ পরীক্ষার একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এটি পরিবর্তন করে ১৭ মে পরীক্ষার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে পাঁচ ধাপে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এখন চার ধাপে নেয়া হবে।
গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ জানিয়েছিলেন, প্রস্তুতি ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১০ মে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
তবে ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ১৭টি জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট সকল জেলায় পর্যাপ্ত কেন্দ্র খালি না পাওয়ায় এ পরীক্ষা আবারও পিছিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১৭ মে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-১৮’ লিখিত পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে সেটি পিছিয়ে মার্চে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় নিয়োগ পরীক্ষা ১৫ মার্চ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে অধিদফতরকে নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে ১৩ মার্চ ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯’ পালিত হওয়ায় ওই সময়ও পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, এবার নিয়োগ পরীক্ষা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে নেয়া হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে।
পৌর এলাকার মধ্যে এবার পরীক্ষা নেয়া হবে। আবেদনকারীর আসন বুয়েট অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেবে। একই সঙ্গে আবেদনকারীর আসন বণ্টন অনুযায়ী প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করে দেবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার ২০ সেট প্রশ্ন তৈরি করা হবে।